নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভার থানাধীন লুটেরচর,নয়ার মার্কেট,কমান্ডার বাড়ির শের আলীর পুত্র মোঃ রনি মিয়া(২৩) চুরি মামলায় পলাতক।
পার্শবর্তী শাক্তা ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকার খামার ব্যাবসায়ী জনাব ইলিয়াস মিয়ার খামারে গাড়িচালক পদে দির্ঘদিন চাকুরী করে আসছিলেন রনি। নানা কায়দায় এই ধুর্তবাজ রনি তার মালিকের বিশ্বস্ততা অর্জন করে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুরগির ট্রিপ খামারে নিয়ে আসতেন।এই বিশ্বাসে ইলিয়াস মিয়া নগদ অর্থ সহ নানা ধরনের মূল্যবান জিনিসপত্র রনির ওপর ছেড়ে দিতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩/১০/২০২২ ইং তারিখ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এলাকায় মুরগি আনার জন্য নগদ ৩,৯৩,০০০/= তিন লক্ষ তিরানব্বই হাজার টাকার কয়েকটি বান্ডিলের একটি ব্যাগ রনি মিয়ার হাতে প্রদান করে রনি উক্ত টাকার ব্যাগ তার ড্রাইভিং সিটের নিচে লুকিয়ে রাখে যার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
এমতাবস্থায় পার্শবর্তী তারানগর ইউনিয়নের বালিঘাটা এলাকার একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে বিবাদী ও গাড়ীর হেলপার সাহাদুল সহ ২০০’শ পিস মুরগী ডেলিভারি প্রদান করতে যায়। গাড়ী ও ড্রাইভারের আসতে বিলম্ব হওয়ায় বাদী নিজে উক্ত বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়, যাওয়ার পথে বাড়িলগাঁও শ্রী সজল এর বাড়ির সামনে ফাঁকা রাস্তার ওপর ঢাকা মেট্রো-ঢ-১১-৬৬৪৩ তার নিজ পিকআপ গাড়িটি রয়েছে।
গাড়ীর কাছে গিয়ে দেখা যায় বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য হেলপার মুরগি নামানোর চেষ্টা করছে। ড্রাইভারকে না দেখে হেলপার সাহাদুরকে রনির কথা জিজ্ঞাসা করায় বলে এইমাত্র গাড়িতেই ছিলো। অতঃপর বাদীর সন্দেহ হওয়ায় গাড়ির সিটের নিচে টাকা রাখাস্থানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় উক্তস্থানে টাকা নেই। তৎখনাৎ অনেক খোঁজাখুজি করে রনির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অবশেষে ড্রাইভার রনির গার্ডিয়ান তার ভগ্নিপতি মোঃ সামদ এর কাছে ঘটনার বিষয়টি জানানো হয়। তিনি এই ঘটনার সুরাহা করবেন বলে আশ্বস্থ করেন। রনি পলাতক থাকায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী ইলিয়াস মিয়া সাতদিন অপেক্ষা শেষে উপায়ন্তর না পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডের থানায় গত ২০/১০/২০২২ ইং তারিখ একটি চুরি মামলার এজাহার ভুক্ত করেন।
যার মামলা নং ১০০৭১(৩)/১ এর ৩৮১/৩৪ ধারা মতে ড্রাইভার (কর্মচারী) কর্তৃক টাকা চুরির মামলা হয়।
মামলা রুজুর দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়া সত্বেও আসামী রনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। বাদী বারবার থানায় যোগাযোগ করা সত্বেও এগোচ্ছে না মামলার ধারাবাহিকতা। পুলিশের বরাত দিয়ে জানাযায় খুব শিগগিরী আসামী গ্রেফতার করা হবে মর্মে জানায়।
এদিকে আসামী পক্ষের লোকজন নানা ভাবে বাদীকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এমতাবস্থায় বাদীর আরো ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের কাছে রনির আচরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন রনির কাছে অজ্ঞাত অনেক লোকজন আসা যাওয়া করতো সম্ভবত রনির কোনো সঙ্ঘবদ্ধ দলের সাথে যোগাযোগ রয়েছে তাকে গ্রেফতার করলে অপরাধের আরো তথ্য বের হয়ে আসবে।
Leave a Reply