ট্রাক ড্রাইভার থেকে কোটিপতি,
অভয়নগরের আলোচিত রবিউল ইসলাম রবির অগাধ সম্পদের রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোর অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় এক সময়ের সাধারণ ট্রাক ড্রাইভার রবিউল ইসলাম রবি আজ কোটিপতি। রাজনীতি, শ্রমিক সংগঠন ও ক্ষমতাধর মহলের ছত্রছায়ায় গড়ে তোলা তার অঢেল সম্পদ এখন আলোচনার কেন্দ্রে। প্রশ্ন এই সম্পদের উৎস আসলে কোথায় ?
রবিউল ইসলাম রবির উত্থানের গল্প
বাজার-সদাই করে জীবিকা নির্বাহ,ট্রাক চালক,শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি। ইউনিয়ন দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ। আওয়ামীলীগ–বিএনপি উভয় দলের ছত্রছায়ায় অদৃশ্য সুরক্ষায় একবার পৌর মেয়র নির্বাচিত। রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে চাদাবাজিঁ করে হয়েছেন কোটিপতি, দুর্নীতি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে রবিউল ইসলাম রবির জিবনীঃ ১৯৯০ দশকে স্থানীয় আমজাদ মোল্লার বাড়িতে বাজার-সদাইয়ের কাজ করতেন। ২০০০ সালে ট্রাক চালক হিসেবে জীবনের পথচলা শুরু করে। ২০০৩/২০০৪ সালে নওয়াপাড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হন। সেই থেকে শুরু হয় তার ক্ষমতার দাপট আর সম্পদের পাহাড় গড়ার খেলা। প্রতিদিন ইউনিয়নের নামে লাখ লাখ টাকা চাদাঁবাজি অভিযোগ ওঠে, তাতে শ্রমিকদের অসন্তোষ তৈরি হয়।
২০০৮–২০১০ আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে ২০১১ সালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হোন। দুর্নীতির অভিযোগ শুরু হয় ২০১৪–২০১৮ ইউনিয়নে চাঁদাবাজি ও দখল বানিজ্য আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দুর্নীতির মাধ্যমে পৌর তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া নিজস্ব লোকজনদের ঠিকাদারী কাজ দিয়ে কমিশন গ্রহন করেন যে কারনে উন্নয়ন ব্যাহত ও জন অসন্তোষ তৈরি হয়। নিজের অপকর্ম ঢাকতে আইনের বাইরে থাকার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক ছত্রছায়া আওয়ামী লীগ–বিএনপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে গাড়ি বাড়ি জমি-জমা ব্যবসা-বানিজ্য সহ অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েন। ২০২৫ সাল (বর্তমানে) ইউনিয়ন নির্বাচনকে ঘিরে পুনর্দখলের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

আ.লীগ–বিএনপি উভয় দলের “ছত্রছায়ায় রামরাজত্ব কায়েম করে প্রভাব বিস্তার করেছে। বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছে কিন্তু বাস্তবে গত ১৭ বছর তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায়। সাবেক সংসদ সদস্য রনজিৎ রায়, শেখ হেলাল সহ সাবেক সড়ক পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খাঁনের সাথে সখ্যতা গড়ে নিজে রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে বিএনপি‘র হাজার হাজার নেতা–কর্মীদের জেল-জুলুম অত্যাচার, মামলা হামলা হলেও ক্ষমতাধর রবির বিরুদ্ধে একটিও মামলাও হয়নি।
৫ই আগস্টে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরও রবিউল ইসলাম রবি বহাল তবিয়তে প্রভাবশালী অবস্থায় অক্ষুণ্ণ রয়েছেন। কিছুদিন পরেই নওয়াপাড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন। রবির কালো শক্তিতে আবারও ইউনিয়ন নিজের দখলে রাখতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এতে শ্রমিকদের মনে আতংক বিরাজ করছে ।
শ্রমিকদের ক্ষোভঃ এক পরিবহন শ্রমিক বলেন আমাদের ঘাম ঝরানো কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে গাড়ি-বাড়ি গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। অথচ আমরা প্রতিদিন জীবন জিবিকা নির্বাহে হিমশিম খাচ্ছি।

রবিউল ইসলাম রবির বিরুদ্ধে অভিযোগের ধরনঃ
অভয়নগরের সাধারণ মানুষ ও বিএনপির একাধিক নেতাদের প্রশ্ন? যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে থেকে কোটিপতি হলেন,সেই ব্যাক্তি কিভাবে বিএনপি‘র নাম ব্যবহার করে টিকে আছেন? দুর্নীতির সম্রাট হয়ে এখনো কিভাবে বহাল তবিয়তে রয়েছেন? এসব দুর্নীতিবাজরা আইনের বাইরে থাকলে রাজনীতির ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে?
রবিউল ইসলাম রবি‘র ক্ষমতার আসল উৎস কি? সেই উত্তর খুঁজছেন অভয়নগরের সাধারণ মানুষ। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বরিউল ইসলাম রবি জানায় আমি এক সময় গরিব ছিলাম বহু কষ্টে আজ সম্পদের মালিক হয়েছি।আমি কোনো দুর্নীতি কিংবা চাদাঁবাজি করিনি তবুও একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।