1. admin@durnitirsondhane.com : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রতারক সরোয়ার কামাল গ্রেফতার। বেইলি রোডে রেস্তোঁরায় আগুনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে মোদির চিঠি রাজধানীর গাউসুল আজম মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। অসহায় তিশার বাবার পাশে দাঁড়ালেন সিনেমার নায়ক রাসেল মিয়া বেগমগঞ্জ উপজেলা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আনসারীর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। সাইফুল ইসলাম নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নৌকা প্রতিকে ঐক্য করার লক্ষ্য ও বেগমগঞ্জে উপজেলা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আক্তারুজ্জামান আনসারী। নোয়াখালীতে আবুল খায়ের এন্ড আদার্স এর রিটেলার সম্মেলন এবং অভিবাদন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। বেগমগঞ্জে পাঁচ শিক্ষক এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি, প্রধান শিক্ষক। ঢাকা ১৮ আসনে আওয়ামী সমর্থীত প্রার্থীকে হারিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী কেটলী প্রতিক বিজয়ী। মৌসুমি হামিদকে নিয়ে রাসেল মিয়ার প্রেম। গুলশান বনানী এলাকায় বেপরোয়া অপরাধী চক্র।

জাতীয় মানবাধিকার সেবা সমূহ ।

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১৪৩ বার পঠিত

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনের প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৯৮ সালে। সে সময় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি)-এর সহায়তায় একটি আইনের খসড়া তৈরী করা হয় কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় এ বিষয়ে আর তেমন কোন অগ্রগতি ছিলোনা অবশেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০০৭ এর মাধমে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম একটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। একজন চেয়ারম্যান দু’জন সদস্যকে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর এ কমিশনের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে অধ্যাদেশকে বৈধতা না দিয়ে এরপর জাতীয় সংসদ ২০০৯ সালের ২২ জুন একজন চেয়ারম্যান, একজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং অন্য পাঁচ অবৈতনিক সদস্য নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে সাত সদস্য বিশিষ্ট মানবাধিকার কমিশন পুনর্গঠিত হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ার:-
বাংলাদেশ সংবিধান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিসমূহ যেগুলো বাংলাদেশের পক্ষভূক্ত সেগুলো থেকে এই এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকায় বলা হয়েছে-যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য, তাই মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কমিশনের প্রধান দায়িত্ব।

এখতিয়ার সমূহ হচ্ছে- 
কমিশন যে কোন ধরণের মানবাধিকার লংঘনজনিত অভিযোগের তদন্ত করতে পারবে।

কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা না হলেও কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবে।

জেলখানা, থানা হেফাজত ইত্যাদি আটকের স্থান পরিদর্শণ করে সেসবের উন্নয়নে সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে।

সংবিধান অথবা দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ পর্যালোচনা করে এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে সুপারিশ করবে।

মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিল বিষয়ে গবেষণা করা এবং সেগুলো বান্তবায়নের জন্য সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে দেশীয় আইনের সামঞ্জস্য বিধানের ভূমিকা রাখবে।

মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা।

আপোষের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য যেকোন অভিযোগ মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে পারবে।

মানবাধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যসহ অন্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।

কমিশনের সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রম
পুনর্গঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দায়িত্ব নেবার পরপরই প্রথম যে কাজ হাতে নেয়া হয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি কৌশলপত্র প্রনয়ণ করা।

মানবাধিকার কমিশন বিষয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে খ্যতিসম্পন্ন একজন বিশেষজ্ঞের সহায়তায় কৌশল পত্রটির খসড়া তৈরী করা হয়। খসড়া কৌশলপত্রে ১৬টি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যূ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কৌশলপত্রটি চুড়ান্ত করার পূর্বে এর ওপর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত সংগ্রহের জন্য ডিসেম্বর ২০১০ থেকে মার্চ ২০১১ এর মধ্যে ১০টি মতবিনিময় কর্মশালা আয়োজন করে। ঢাকা ও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে কৌশলপত্রটি চুড়ান্ত করা হয়।
২০১০ সালের নভেম্বরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী একটি আঞ্চলিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিসহ জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। দু’দিনের এ সেমিনারে এ অঞ্চলের মানবাধিকার কমিশনসমূহের কাজের অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারষ্পরিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ ও কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন কারাগার, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিশুসদন পরিদর্শণ করেন এবং এসব স্থানে বিদ্যমান অনিয়মসমূহ দূরীকরণে সরকারের প্রয়োজনীয় সুপারিশ করেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে সংশিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানোর ফলে অনেকগুলো ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ ও কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

সাবধানতা:-
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নামের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি সংগঠন থাকায় সাধারন মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ছে। হঠাৎ করে কেউ নাম শুনলে মনে করেন এই সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। মানবাধিকার কমিশন নিয়ে বিভ্রান্তি হওয়ায় সম্প্রতি কমিশনের পক্ষ থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র সরকারী সংবিধিবব্ধ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানই একমাত্র কমিশন ব্যবহার করতে পারে। অন্য কোন বেসরকারী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিজেদের সংস্থার নামের সাথে কমিশন নাম ব্যবহার করলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সেই সব সংস্থাগুলোকে নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা বা ঢাকার বাইরে আর কোনো আঞ্চলিক বা শাখা অফিস বা অঙ্গ সংগঠন নেই।

মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গভমেন্ট অনুমোদিত বেসরকারি ভাবে অনেক গুলো মানবাধিকার সংস্থা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ থাকলেও প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছেন অনেক প্রতিষ্ঠান তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি।

জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে নারী,পুরুষ সহ যে কোন বয়সের দেশী বা বিদেশী যে কোন ব্যক্তি কমিশন বা সংস্থায় অভিযোগ করতে পারেন। অর্থাৎ গ্রামের বা শহরের,সমতল বা পাহাড়ী জনগোষ্ঠী,ধনী,গরীব,কৃষক,শ্রমিক,শিক্ষিত অথবা যেকেই কমিশনে অভিযোগ করতে পারবেন। অবস্থা বিবেচনায় কমিশনও স্ব-উদ্যোগে অভিযোগ গ্রহণ করে থাকে।

যে ধরণের অভিযোগ করা যায়?
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে দ্বিতীয় ও ততৃীয়ভাগে যে অধিকারগুলি সকল নাগরিককে দেয়া হয়েছে, তার লংঘনের আশংকা তৈরী হলে বা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বর্ণিত অধিকারসমূহে লংঘিত হলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করা যায়। কেই যদি মনে করেন যে, মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে তাঁর জীবন, সমতা ও মর্যাদার যে অধিকার পাওনা রয়েছে তা ক্ষুন্ন হচ্ছে কিংবা ক্ষুন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় বা সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন বা কোন জনসেবক কর্তৃক মানবাধিকার (জীবন, সমতা ও মর্যাদা সংক্রান্ত অধিকার) লংঘন করা হয়েছে বা লংঘনের প্ররোচনা দেয়া হয়েছে বা এই সব অধিকার লংঘন প্রতিরোধ অবহেলা করা হয়েছে তাহলে মানবাধিকার সংস্থা বা কমিশনে অভিযোগ করা যাবে।

কীভাবে অভিযোগ দাখিল করবেন?
কমিশনের নির্ধারিত ফরমে অথবা সাদা কাগজে হাতে লিখে বা টাইপ করে, কমিশনের অফিসে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে অথবা ডাক/কুরিয়ার মারফত, ফ্যাক্স অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ পাঠানো যায়। অভিযোগের সাথে অন্যান্য কাগজপত্র, ছবি, অডিও-ভিডিও ক্লিপ ইত্যাদি সংযুক্ত করা যেতে পারে।

মনে রাখবেন…
১.কমিশন অভিযোগকারীর বা অভিযুক্ত কারো পক্ষে নয়, বরং নিরপেক্ষভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে উভয়ের জন্যই কাজ করে।

২.অভিযোগ করা বা অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ নেয়া, অভিযোগ করার আগে পরামর্শ করা ইত্যাদির জন্য কোন খরচ করার প্রয়োজন হয় না।

৩. কমিশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যেন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাগরিকের মর্যাদা, সম্মান, সমতা ইত্যাদির অধিকার লংঘন করতে না পারে তার প্রতি লক্ষ্যে রেখে সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন রক্ষা করা হয়।

বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক জনসাধারণ হয়রানির অভিযোগ থাকায় সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সেই সাথে অনবিজ্ঞদের মাধ্যমে মানবাধিকার কর্মি পরিচয়ে সতর্কতা রক্ষা করবেন।
মানবাধিকার রক্ষা করা একটি মৌলিক দায়িত্ব, আইনের প্রতি নিবেদিত ও মানব কল্যাণে এগিয়ে আসা মানুষেরাই মানবাধিকার কর্মি।

প্রচারে: ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি
গভ:মেন্ট রেজি: এস-৬৪৮৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 Durnitirsondhane
Theme Customized By Theme Park BD