1. admin@durnitirsondhane.com : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পেট্রোল পাম্প বিক্রির নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। প্রতারক সরোয়ার কামাল গ্রেফতার। বেইলি রোডে রেস্তোঁরায় আগুনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে মোদির চিঠি রাজধানীর গাউসুল আজম মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। অসহায় তিশার বাবার পাশে দাঁড়ালেন সিনেমার নায়ক রাসেল মিয়া বেগমগঞ্জ উপজেলা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আনসারীর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। সাইফুল ইসলাম নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নৌকা প্রতিকে ঐক্য করার লক্ষ্য ও বেগমগঞ্জে উপজেলা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিতে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আক্তারুজ্জামান আনসারী। নোয়াখালীতে আবুল খায়ের এন্ড আদার্স এর রিটেলার সম্মেলন এবং অভিবাদন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। বেগমগঞ্জে পাঁচ শিক্ষক এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি, প্রধান শিক্ষক। ঢাকা ১৮ আসনে আওয়ামী সমর্থীত প্রার্থীকে হারিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী কেটলী প্রতিক বিজয়ী। মৌসুমি হামিদকে নিয়ে রাসেল মিয়ার প্রেম।

ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩
  • ১৬৩ বার পঠিত

#৫৪ বছরের বর্ণ্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবন
# ত্যাগ, তিতিক্ষা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
৫৪ বছরের বর্ণ্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল উদ্দিন ঢাকা-১৭ আসনের মনোনয়ন চাচ্ছেন। রাজধানীর গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও ভাসানটেক থানা ১৫, ১৮, ১৯, ২০ ও ৯৫ নং ওয়ার্ড এবং ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। এটি দেশের ভিআইপি আসন হিসেবে খ্যাত। এখানে কূটনৈতিক এলাকা এবং সেনানিবাসের অবস্থান হওয়ায় আসনটি রাজনীতিবিদদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় থেকে এ আসনে আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংগঠিত করে রেখেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. ওয়াকিল উদ্দিন।

এআসনের সংসদ সদস্য চিত্র নায়ক ফারুকের ইন্তেকালের পর আসনটি শূন্য হয়। আর শূন্য এ আসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার জনসাধারণের প্রতিটি দরজায় গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন নিজেকে। এলাকার জনসাধারণসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঢাকা-১৭ আসনে তাকেই এবার নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন। সাধারণ ভোটারদের নিকট দোয়া প্রার্থনা করছেন।

এক নজরে ওয়াকিল উদ্দিনের রাজনৈতিক জীবনঃ

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ওয়াকিল উদ্দিন আহমেদ ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে। ১৯৬৯ সালে এস.এস.সি পাশ করার পর তেজগাঁও কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে তৎকালীন ঢাকা জেলার ডেমরা-তেজগাঁও আসনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রার্থী হলে তাঁর নির্বাচনী জনসংযোগে অংশ নেন এবং বঙ্গবন্ধুকে ভোট প্রদান করেন ।

১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় গুলশান থেকে বিশাল লাঠি মিছিলসহ জনসভায় যোগদান করেন ওয়াকিল উদ্দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান-এর নির্দেশে এবং পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং সম্পন্ন করে স্ব-শরীরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে খন্ডকালীন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৩-৭৪ সালে তিতুমীর কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় কলেজ ছাত্রলীগের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত থেকে সকল দলীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করেন । স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন বৃহত্তর গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ বৃহত্তর গুলশান থানা’র সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের জান্তা সরকার ধরপাকড় শুরু করে, সে সময় তৎকালীন সামরিক জান্তা সরকার তাকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালায়, না পেয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে প্রায় ৩ বছর যাবত মানবেতর জীবনযাপন করেন তিনি।

১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে পুনরায় এলাকায় এসে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেন । ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন নেতাকর্মী নিয়ে বিমান বন্দর সড়কে বনানী-কাকলী স্পটে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান । ১৯৮৮ সালে স্থানীয় সরকারের অধীন ঢাকা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

১৯৯১ সালে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করার পর খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া আসন ঢাকা-৫ (তৎকালীন গুলশান-ক্যান্টনমেন্ট)-এর উপ-নির্বচানে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট সাহারা খাতুনের পক্ষে নির্বাচনী কাক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বৃহত্তর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত ১৮নং ওয়ার্ডের কমিশনার পদে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন । ৯৩-৯৬ সালে বিএনপি-জামাত সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রোষানলে পড়ে প্রায় ২৫টি রাজনৈতিক মামলার আসামী হন। ৯৩-০৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় বৃহত্তর গুলশান থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন । ৯৩-৯৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রীয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে ২০০২-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় থাকেন।

২০০৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১২-২০১৩ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাত জোট দেশ ব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অগ্নিসংযোগ চালালে সে সময় ঢাকা-১৭ আসনাধীন এলাকায় তার নেতৃত্বে বিএনপি- জামাতের সকল রাজনৈতিক অপতৎপরতা প্রতিহত করি। ২০১৭ থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

রাজনীতির পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল আহমেদ ব্যবসায়িক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এছাড়াও সমাজসেবি হিসেবেও তার নাম রয়েছে এলাকাজুড়ে । ওয়াকিল আহমেদ স্বদেশ প্রপার্টিস লিমিটেড ও স্বদেশ গ্লোবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বারিধারা এগ্রো এ্যান্ড ফুড প্রসেসিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক।

সামাজিক কর্মকান্ডে অবদানঃ
সামাজিক কর্মকান্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল আহমেদের অবদান অসামান্য । ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ভাষানটেক ও ক্যান্টনমেন্ট) নির্বাচনি এলাকার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় অবকাঠামো উন্নয়ন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা প্রতিষ্ঠাসহ গরীব-দুঃখীদের আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা ও কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করে উক্ত এলাকার জনগণের আস্থা ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে তার সুনাম রয়েছে। ১৯৮৩-৮৮ সাল পর্যন্ত সাবেক ঢাকা মিউনিসিপাল করপোরেশনের ৭৫ নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় খিলক্ষেত থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত উক্ত এলাকার মানুষের সুবিধার্থে পানি ও পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থা, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগসহ ১৫টি পানির পাম্প স্থাপন করেন যার ফল এলাকার জনগন এখনও ভোগ করছে। একজন সফলতম কমিশনার হিসাবে জনগণের দেয়া দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে পালন করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক কর্মকান্ড দলের প্রতি শতভাগ আনুগত্য থেকে ত্যাগ স্বীকার করে এখন পর্যন্ত তিনি দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এ কারণে তিনি দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। তিনি প্রত্যাশা করেন এবার দল তাকে নিরাশ করবেনা। তারপরও দলের হাইকমান্ড যার প্রতি আস্থা রাখবে তার হয়েই তিনি কাজ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 Durnitirsondhane
Theme Customized By Theme Park BD