পাপন চৌধুরী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
উপজেলা ভেটোরনারি হাসপাতাল সকাল ৯টা বাজতে মিনিট দশেক বাকি। তখনো সরকারি অফিসগুলো বেশিরভাগ কর্মকর্তা আসেনি। এতো সকালে উপ-সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকতা সুজিত কুমার পাল অসুস্থ্য প্রাণীদের একে একে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার খেদাপাড়া থেকে অসুস্থ গরুর বাচ্চা নিয়ে এসেছেন বিধান বিশ্বাস,হেলায় গ্রাম থেকে এসেছেন অসুস্থ ছাগল নিয়ে আব্দুল মালেক, খামার মুন্দিয়া থেকে আখি বেগম এসেছেন গরুর বাচ্চা নিয়ে। এভাবেই গবাদি পশু গরু ছাগল,হাঁস,মুরগি,বিড়াল,কুকুরসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নিয়ে আসা পাণীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
সুজিত কুমার পাল ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা ভেটোরনারি হাসপাতালে দ্বায়িত্বে আছেন। সুজিত বাবুর এক ছেলে এক মেয়ে। তারা সবাই পড়াশোনা করছে।
হাস্যোজ্জ্বল সুজিত কুমারের যেন দেহে কোন ক্লান্তি নেই। এভাবে প্রায় ৩২ বছর প্রাণী সেবা দিয়ে আসছেন। ১৯৯৫ সালে খুলনার দাকোপ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। তিনি সকাল ৯টার আগেই অফিসে আসেন এবং বেলা ৬ টা পর্যন্ত অফিসে থাকেন। এ পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ হাজার গরু ছাগলের ডেলিভারি করিয়েছেন।
একই দপ্তরের জটিল রোগী এলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জিল্লুরাইন নিজেই চিকিৎসা সেবা দেন। গবাদি প্রাণী ও হাসপাতালের বিভিন্ন রোগের টিকাবীজ থেকে শুরু করে সব কাজ তিনি নিজেই করেন।
এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকতা ডাঃ জিল্লুরাইন এর সাথে তিনি বলেন, বর্ষা, বাদল, শীত যাই হোক সুজিত কুমার পাল নিয়মিত অফিস করেন। তার মত আন্তরিক কর্মকর্তা প্রতি অফিসে থাকলে দেশীয় প্রাণীদের সেবার চিত্র পাল্টে যেত।
অফিসের সামনে চা দোকানদার বিল্লাল হোসেন জানান,সুজিত বাবুর চা পানের কোন নেশা নেই। তার নেশা শুধু কাজ করা। তিনি কাজ করতে পছন্দ করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকতা সুজিত কুমার পাল জানান,আমি দ্বায়িত্বকে শ্রদ্ধা করি।যতদিন চাকরি আছে ততদিন আমাদের অমূল্য সম্পদ গরু,ছাগল, হাঁস,মুরগি,বিড়াল,কুকুরসহ বিভিন্ন প্রজাতীর প্রাণীদের সেবা করে যেতে চাই।
Leave a Reply