1. admin@durnitirsondhane.com : admin :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছে। তুষারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ: নীলা ইসরাফিল স্বাস্থ্যের দুই মেগা প্রকল্পে ‘অন্ধ খরচ’ ইরানে মার্কিন হামলা: বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-নিন্দা, কূটনীতিতে সমাধান খোঁজার আহ্বান বিশ্বের। মোসাদের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ইরানে ৫৪ গুপ্তচর গ্রেপ্তার: আনাদোলু তুষারের সঙ্গে অডিওর কথা স্বীকার করলেন এনসিপি নেত্রী নীলা ইসরাফিল। রাশিয়ায় ব্রিটিশ কাউন্সিলকে ‘অবাঞ্ছিত সংস্থা’ ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করেছে। জরিমানা করা সত্বেও থেমে নেই,ভ্যাট ফাকিঁর শির্ষে খলিল হোটেল । ছাত্রশিবির কর্মী নিহিম গুমের মামলায় র‌্যাবের সোহায়েল গ্রেপ্তার উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য প্যারাসিটামল কতোটা নিরাপদ?

বৃষ্টির পানির নিচে খুলনার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
  • ১০ বার পঠিত
খুলনায় জলাবদ্ধতার একটি চিত্র।

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে খুলনা নগরীর অধিকাংশ সড়ক। বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর ও সড়কের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ। মাত্র দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতেই পানির নিচে খুলনার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) বৃষ্টিতে অধিকাংশ সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথাও কোথাও সড়কে যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে যানজটে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। রাতের সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর একাদিক গুরুত্বপূর্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

নগরীর এ দুর্বিষহ অবস্থার জন্য সিটি করপোরেশনের দূরদর্শিতার অভাব, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, খাল-বিল দখল আর সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবকে দায়ী করছেন নগরবাসী।

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকার মধ্যে মোট সড়ক আছে ১ হাজার ২১৫টি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর রাতের বৃষ্টিতে নগরীর টুটপাড়া, রয়েল মোড়, সাত রাস্তা মোড়, মিস্ত্রিপাড়া, খালিশপুর, নিউ মার্কেট এলাকা, শান্তিধাম মোড়, বসুপাড়া, ফুলবাড়িগেট, আলমনগর, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা, কুয়েট রোড, দৌলতপুরের একাধিক এলাকাসহ বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতেই পানির নিচে খুলনার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা
দেশের সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
নগরবাসী বলছেন, শুধু ড্রেন নির্মাণ করলেই হবে না নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বর্জ্য পড়ে অধিকাংশ নতুন ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কেসিসির নজরদারি কম। সঠিকভাবে তদারকির অভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় কাজে আসছে না।

নগরীর টুটপাড়ার বাসিন্দা ফাতিন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই রোডে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে। সম্প্রতি সড়কের দুই পাশে নতুন ড্রেন নির্মাণ করা হয়।এরপরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।’

ফাতিন আরও বলেন, ‘এ এলাকার বাড়ির ভেতরের পানি কোনোভাবেই সড়কের ড্রেনে আসে না। সিটি করপোরেশন যে ড্রেন বানিয়েছে বাড়ি থেকে উঁচুতে। এতে বাড়ির ভেতর জমে থাকা পানি কোনোভাবেই সেখানে যায় না।’

ছোট মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা মিথিলা মজুমদার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে গরম কিছুটা কমলেও বাসার আশপাশ দিয়ে পানি জমে গেছে, যে কারণে চলাচল করতে খুবই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি এই সড়কগুলো দিয়ে গাড়িও চলাচল করছে না।’

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটা এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টি। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খুলনাবৃষ্টিতেই পানির নিচে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 Durnitir Sondhane by Uzzal Hossain
Theme Customized By Theme Park BD