* ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা
* শিকড়ের খোঁজে প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম জনি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মোঃ জামিল উদ্দিন সজীবঃ
“জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলে শিকড়ের খোঁজ নাও, এলাকায় কাজ করো, নিজ জন্মস্থানের জন্য কাজ করে নিজের পরিচয় আরো বেগবান করো”— এভাবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী সংগঠনের সেক্রেটারি ও সিঙ্গাপুর প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম জনি।
তিনি বলেন,
“প্রবাসে অর্জিত অভিজ্ঞতা,সাফল্য ও সম্পদ দিয়ে যদি আমরা নিজেদের জন্মস্থানের উন্নয়নে কাজ না করি, তবে সংগঠন প্রতিষ্ঠার আসল মানে পূর্ণ হয় না। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা শেষে সমাজের জন্য কাজ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। সেই সাথে নিজ এলাকা সহ আশপাশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় নিজেদের আত্মনিয়োগ ঘটাতে হবে তবেই একটি মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১২নং কুতুবপুর ইউনিয়নের জমিদারহাট বেগম নুরুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ছিল উৎসবমুখর। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রাক্তন ছাত্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কুতুবপুরের কৃতি সন্তান ড.মোহাম্মদ আবু ইউসুফ-কে দেয়া হয় সংবর্ধনা। একই মঞ্চে বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দেয়া হয় বিদায়ী সম্মাননা। উক্ত অনুষ্ঠানে আগতদের মাঝে মহা মিলনমেলার রুপ নেয়। উপস্থিত বক্তারা সমাজের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ড.মোহাম্মদ মোস্তফা,বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাড. শওকত উল্ল্যা চৌধুরী (সভাপতিত্ব করেন)বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার কন্যা ডা. লুৎফুন নাহার,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম,লক্ষীনারায়ণপুর স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহ জালাল লিটন,ফরাজী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুক্তার হোসেন,বিএনপি বেগমগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস ও সদস্য সচিব মাহফুজুল হক আবেদ।লেখক,গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক আসাদ পারভেজ। ১৩নং রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ। স্কুলের ২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের প্রতিনিধি আকরাম উল্লাহ সুমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম রিয়াজ।
প্রাক্তনদের উপস্থিতি
বিদ্যালয়ের মাঠে সকাল থেকেই ভিড় জমে যায় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকার বিশিষ্টজনদের। উপস্থিত ছিলেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও। সংবর্ধনা ও বিদায়ী মুহূর্তগুলো অংশগ্রহণকারীদের আবেগাপ্লুত করে তোলে।
জাহাঙ্গীর আলম জনির বক্তব্য অনুষ্ঠানের মূল বার্তা হয়ে উঠে— প্রতিষ্ঠার পর শিকড়ের প্রতি দায়বদ্ধতা। তার আহ্বান ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকেই মনে করেন, এ ধরনের দিকনির্দেশনা তরুণদের ভবিষ্যতে সমাজ ও এলাকার জন্য কাজ করতে প্রেরণা জোগাবে।
Leave a Reply