ডিএস নিউজঃ
তেহরানে হামাসের প্রাক্তন প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎয সোমবার প্রকাশ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। এটিকে ‘জঘন্য অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ন্যায্যতাও দাবি করেছে দেশটি।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, “এই বেপরোয়া স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের দায় সুম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের। এবং কাটজের বক্তব্যে প্রমাণ হয় যে ইরান প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে সঠিক কাজ করেছে।
এর আগে এ বছরের ৩১শে জুলাই তেহরানের একটি গেস্ট হাউসে হানিয়াকে হত্যা করা হয়। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি এজেন্টরা একটি বিস্ফোরক ডিভাইস স্থাপন করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তবে ইরান এই ঘটনার জন্য প্রথম থেকেই ইসরায়েলকে দায়ী করে আসলেও সোমবার পর্যন্ত ইসরাইয়েল হানিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি।
অক্টোবরে ইরান ইসরাইলের দিকে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হয়। ইসরাইল দাবি করেছে, তাদের নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং মিত্রদের বিমান বাহিনী বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
মঙ্গলবার, ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাভানি হানিয়েকে ইসরাইলের হত্যাকে “জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন কাটজের বক্তব্যে প্রমাণ হয় যে ইরান প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে সঠিক কাজ করেছে।
এর আগে ২৭শে সেপ্টেম্বর, বৈরুতে বোমা হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হন। এর পরে ১৬ই অক্টোবর গাজায় হানিয়ের উত্তরসূরি ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন।
সূত্র: এনডিটিভি
Leave a Reply