ডিএস নিউজঃ গার্ডার দুর্ঘটনা মামলা দায়ের করা হয়েছে রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ক্রেনের চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত দুই বোনের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িত দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এর আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উত্তরার জসীমউদ্দীন এলাকায় ক্রেন থেকে পড়ে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডারে প্রাইভেটকার চাপা পড়ে। এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। অনুষ্ঠান শেষে স্বজনেরা নবদম্পতিকে নিয়ে কনের বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পরিবারটি। নিহতরা হলেন- রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাইভেটকারে সাত আরোহীর মধ্যে শুধু বেঁচে যান হৃদয় (২৪) ও রিয়া মনি (২১)। নবদম্পতিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। গত শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় তাদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হৃদয়ের ডানপায়ে আঘাত লেগেছে। রিয়া মনির কোথাও আঘাত লাগেনি। তবে তারা শঙ্কামুক্ত হলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। নবদম্পতি ট্রমার মধ্যে আছেন এবং হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে উঠছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনরা জানান, গত শনিবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। তারা আজ ছেলের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখান থানার কাওলা আফিল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আর কনে রিয়া মনির বাড়ি আশুলিয়ার খেজুর বাগানে আসরাফউদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায়।
হৃদয়ের চাচাতো ভাই রাকিব জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাড়ি থেকে মরদেহগুলো বের করে উদ্ধারকারীরা।
রাকিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার কীভাবে এ অব্যবস্থাপনার মধ্যে কাজ করছে? আমরা কার কাছে বিচার দেব! আমাদের অন্তত লাশগুলো বের করে দিক। কিন্তু এখানে তো কোনো উন্নত যন্ত্রপাতি নেই। রিয়া মনির খালাত ভাই শুভ বলেন, দুটি গাড়িতে করে তারা কাওলা থেকে আশুলিয়া যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়ি পেছনে ছিল।
তিনি বলেন, সামনের গাড়ি হৃদয়ের বাবা চালাচ্ছিলেন, পাশে বসেছিলেন হৃদয়। আর পেছনে বসেছিলেন হৃদয়ের স্ত্রী রিয়া মনি, তার মা, খালা ও তার দুই বাচ্চা। হৃদয়ের খালাত ভাই বলেন, তার খালু রুবেল পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর হৃদয়ের দোকান রয়েছে।
ডিএস নিউজ/১৬/০৮/২০২২ইং
Leave a Reply