ইব্রাহিম খলিল ইশানঃঃ
যশোর – খুলনা মহাসড়কের মুড়লী নামক স্থানে আরসিসি রিজিট ঢালাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম চলছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেছেন।
মোটা রড ((Dowel bar)এর একপ্রান্তে ঢালাইয়ের ভেতরে রেখে বাকি অংশ একটি পিভিসি পাইপের ভেতরে সীল করে পরবর্তী ঢালাইয়ের ভেতরে রেখে এমনভাবে ঢালাই করতে হবে, যেন পিভিসি পাইপের ভেতরে থাকা রডের অংশটি ঢালাইয়ের ভেতরে মুক্তভাবে নড়াচড়া করতে পারে।অথচ এ নিয়ম লংঘন করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অতি লাভের আশায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিভিসি পাইপ ব্যবহার না করেই ঢালাই কাজ সম্পন্ন করছে। অনুসন্ধানকালে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেন। সরেজমিন অনুসন্ধানেও এ ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
যশোর সড়ক বিভাগের এসও আনিছুর রহমান ও একজন কার্য সহকারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজে ফাঁকি দেয়ার সুযোগ দিয়ে মোটা টাকা টেনে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত দু”দিন সরেজমিন দেখা যায়, যশোর-খুলনা মহাসড়কের মুড়লী নামক স্থানে আরসিসি রিজিট ঢালাই এর ক্ষেত্রে এই অনিয়ম চলছে।১৬ মি.লি রডের একটি থেকে আরেটির দূরত্ব ১১ ইঞ্চির স্থলে ১৩ ইঞ্চি ফাঁকা দেয়া হচ্ছে।
ঢালাইয়ের সময় কেনো ভাইব্রেশন দেয়া হচ্ছে না। যার কারণে ঢালাইয়ে হানিকম দেখা দিচ্ছে। কাজেই এই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে যেভাবে আরসিসি রিজিট ঢালাই দেয়া হচ্ছে তাতে সহসাই রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন ।
রাস্তার দুই পাশে ইটের গাথুনিতে ১নং ইটের স্থলে অতি নিম্নমানের গোড়ের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঢালাইয়ে রেশিও অনুযায়ী পাথরের চেয়ে বালুর পরিমান বেশি দেয়া হচ্ছে।
সিলেকশন বালুর পরিবর্তে কুষ্টিয়ার লোকাল বালু ব্যবহার করা হচ্ছে,যা ১এফএম এর নীচেই। শুধু তাই নয়, এর আগে একই নিয়মে যশোর – খুলনা মহাসড়কের চেঙ্গুটিয়া এলাকায়ও আরসিসি রিজিট ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢালাই কাজের স্থলে সড়ক বিভাগের একজন এসও এবং একজন কার্য সহকারী উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও গত শুক্র ও শনিবার তাদের দেখা মেলেনি।শুক্রবার ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই চলে তড়িঘড়ি ঢালাই কাজ।যা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ।
ঢালাইয়ের ভেতরে অনেক স্থানে ডুয়েল বার রড না দিয়েই ঢালাই দেয়ার প্রমান পাওয়া গেছে।
এসব অনিয়মের ব্যাপারে যশোর সড়ক বিভাগের নির্বহী প্রকৌশী গোলাম কিবরিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপনার বক্তব্য শুনলাম এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও আনিছুর রহমান বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী বাবু পাটোয়ারি জানান, আমি কোনো অনিয়ম করছি না, আপনাদের কাছে অনিয়ম মনে হলে নিউজ করে দেন। উল্লেখ্য, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টার প্রাইজ যশোর – খুলনা মহাসড়কের চেঙ্গুটিয়া এলাকা ও যশোর সদরের মুড়লী এলাকায় মোট ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩৫২ মিটার আরসিসি রিজিট ঢালাই কাজ বাস্তবায়ন করছে।
Leave a Reply