রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেছেন, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সংঘটিত এই গণঅভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, দুঃশাসন, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ এবং ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত জাগরণ।
সোমবার (৪ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ছাড়া একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের এই দিনটি আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়েছে। তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন অভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া সাহসী যোদ্ধাদের, যারা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে জীবন দিয়েছেন। আহত, পঙ্গু ও দৃষ্টিশক্তি হারানো যোদ্ধাদের অবদানও স্মরণ করেন তিনি এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, শহিদ ও আহতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব, যা পালনে রাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থানের পর দেশ ব্যাপক সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে, যা নতুন এক ন্যায়ভিত্তিক ও সাম্যনির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করবে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি একটি চেতনার নাম। এই চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন এবং মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
Leave a Reply