নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রদলে নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কলেজে নিয়মিত ছাত্র না হয়েও ফয়সাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র জানায়,ফয়সাল আহমেদ বর্তমানে প্রাইভেট ডিগ্রিতে ভর্তি হলেও তার কলেজের বৈধ আইডি কার্ড, ক্লাসে উপস্থিতি বা নির্দিষ্ট বিভাগীয় পরিচয় নেই। এ অবস্থায় ছাত্র সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কলেজের ত্যাগী ও নিয়মিত শিক্ষার্থীরা।
একাধিক শিক্ষার্থীর দাবি,তড়িঘড়ি করে কমিটি গঠনের সময় ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি তমিজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবালের প্রভাবেই ফয়সালকে পদ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে,আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়।
অন্যদিকে,ফয়সালের অতীত নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি অতীতে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। এমনকি রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগেও তার নাম উঠে আসে, যা নিয়ে স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
এছাড়া, তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও কলেজে ভর্তি বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পরিবহন থেকে টাকা আদায়ের ঘটনাতেও তার নাম শোনা যায়।
তবে এসব অভিযোগ সম্পর্কে ফয়সাল আহমেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী প্রশ্ন তুলেছেন,যখন কলেজের নিয়মিত ও ত্যাগী শিক্ষার্থীরা রয়েছেন, তখন অ-ছাত্ররা কিভাবে নেতৃত্বের আসনে আসেন?
এবিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের নেতারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত দাবি করেছে সাভার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply