স্টাফ রিপোর্টার
সাভার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক, অস্ত্র ও নারী পাচারচক্রের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে কুখ্যাত শামীম রেজা নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রের অভিযোগ—র্যাবের এক কর্মকর্তা কাওসার মাতব্বরের সহায়তায় তিনি এই অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করছেন।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে শামীম রেজা
পলানপাড়া এলাকায় শামীম রেজার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে বৃহৎ মাদক ও অস্ত্রের ঘাঁটি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে চলে মাদক সেবন ও পাইকারি বিক্রির ধুম। এলাকাবাসীর ভাষায়, “পলানপাড়া এখন সাভারের সবচেয়ে ভয়ংকর মাদক আখড়া।
শামিম রেজার আলিশান বাড়ি
স্থানীয়রা জানান, হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি মদের বড় বড় চালান আসে নিয়মিত। এসব মাদক আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হয়। শামীম রেজা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক—এমন তথ্যও উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।
নেপথ্যে কাওসার মাতব্বর
বিগত সরকারের আমলে সাভার থানার এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কাওসার মাতব্বরের সঙ্গে শামীম রেজার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ—তিনি এখনও পেছন থেকে প্রশাসনিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন এই মাদক সিন্ডিকেটকে।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসনের এক শ্রেণির প্রভাবশালী কর্মকর্তার সহযোগিতায় শামীম রেজা দীর্ঘদিন ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাত এড়িয়ে চলছে। এমনকি একাধিকবার গ্রেফতার হলেও রহস্যজনকভাবে ছাড়া পেয়ে যায় তিনি।
অস্ত্র ও অপরাধচক্রের নিয়ন্ত্রণে
শামীম রেজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার বহু ছিনতাইকারী ও অপরাধী চক্র। তিনি ভাড়াটে খুনি, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী দলের মাধ্যমেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “শামীম রেজা এখন দ্বিতীয় এরশাদ শিকদার। কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে বাঁচে না।
মাদক বিক্রয়ের আস্থানা
প্রশাসনের অবস্থান
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি ও ডিবির ওসি জানান, “শামীম রেজা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।” তবে স্থানীয়দের দাবি—তিনি সাভারেই অবস্থান করছেন এবং তার অপরাধ কর্মকাণ্ড আগের মতোই চলমান।
এলাকাবাসীর দাবি
এলাকাবাসী বলেন, “মাদক, অস্ত্র ও নারী পাচারের এই নেটওয়ার্ক ভেঙে না দিলে সাভারের যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়বে।” তারা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সাভারের জনজীবন এখন ভয়, মাদক ও সন্ত্রাসের ছায়ায় ঢাকা। এই নেটওয়ার্কের পেছনের শক্তিকে চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা না নিলে সমাজ ও তরুণ প্রজন্ম আরও গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
Leave a Reply