1. admin@durnitirsondhane.com : admin :
রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এফডিসির গেটে নায়কের হাতে রান্না, খাওয়ানো হলো অসহায় মানুষদের দেশে নেশা পণ্য উৎপাদন কারখানা স্থাপনে বেজার অনুমোদন: আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে একই ব্যক্তি যখন ভূয়া পুলিশ অন্যদিকে মাদক সম্রাট প্রশাসনের নিরবতা। সংবাদ প্রকাশের পর অপসারণ করা হলো আকাশমনি গাছ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দায় বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়কেও নিতে হবে অভয়নগর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাভারে ১০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার আত্ম-বিসর্জিত একজন সাংবাদিকের গল্প। জাসাস হাতিরঝিল থানা কমিটি উপেক্ষা করে নতুন কমিটি ঘোষণায় ক্ষোভ তরুণ প্রজন্মের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি

সংবাদ প্রকাশের পর অপসারণ করা হলো আকাশমনি গাছ

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৩ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সরকারি সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে অবশেষে অপসারণ করা হয়েছে আগ্রাসী প্রজাতির আকাশমনি গাছের চারা।

এই পদক্ষেপ আসে দৈনিক বিডি খবর পত্রিকায় (নিষিদ্ধের ছয় মাস পরেও সরকারি নার্সারিতে আকাশমনির চারা বিক্রি চলছে দেদারসে)শিরোনামের সংবাদ প্রকাশের পর।

বুধবার(২২অক্টোবর)সকালে সরেজমিনে দেখা যায় নার্সারির কর্মীরা সেখানে থাকা আকাশমনি গাছের চারা অপসারণে ব্যস্ত নার্সারী কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য,পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে সরকার গত ১৫ মে ২০২৫ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়,আগ্রাসী প্রজাতির এসব গাছের পরিবর্তে দেশীয় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভয়নগর উপজেলা বন কর্মকর্তা সমিরন বিশ্বাসের কাছে আকাশমনি গাছ অপসারণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে নার্সারির এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন উপর মহলের নির্দেশে আমরা আজ সকালে আকাশমনি চারাগুলো অপসারণ শুরু করেছি। আগে বিক্রির অনুমতি ছিল, কিন্তু এখন নতুন নির্দেশ এসেছে নিষিদ্ধ গাছ না রাখার জন্য।

সাংবাদিকদের মন্তব্য:
স্থানীয় সাংবাদিকরা মনে করেন, সরকারের পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো। সাংবাদিক রবিউল ইসলাম বলেন,
মিডিয়ার দায়িত্বশীল প্রতিবেদন সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা চাই পরিবেশের ক্ষতিকর এসব আগ্রাসী গাছের পরিবর্তে দেশীয় গাছের প্রসার ঘটুক।”

নার্সারির এক কর্মকর্তা জানান,
আমাদের কারও উদ্দেশ্য আইন ভঙ্গ করা ছিল না। আগের চারা মজুত ছিল, তাই বিক্রি চলছিল। এখন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সব চারাই সরিয়ে ফেলছি।”

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ শাহিদুল ইসলাম বলেন,আকাশমনি গাছ মাটি নষ্ট করে দেয়, জমিতে ফসল হয় না। সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে প্রয়োগে আরও কঠোর হওয়া দরকার।”
আরেক বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন,দেশীয় ফলজ গাছ লাগানো হলে আমরা যেমন ফল পাব, তেমনি পরিবেশও বাঁচবে।

পরিবেশবিদদের মতে,আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে ঠিকই, কিন্তু এরা মাটির উর্বরতা ও জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই এই পদক্ষেপ দেশের টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 Durnitir Sondhane by Uzzal Hossain
Theme Customized By Theme Park BD