সাভারে শামীম রেজার মাদক সাম্রাজ্যের নেপথ্যে র্যাব কর্মকর্তা কাওসার মাতব্বরের নাম শিরোনামে নিউজ প্রকাশ হওয়ায় প্রতিবেদককে হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী শামীম রেজার একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে “দুর্নীতির সন্ধানে” পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই প্রতিবেদককে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ভূয়া পুলিশ শামীম রেজা ও র্যাব সদস্য কাওসার মাতব্বরের সন্ত্রাসী বাহিনী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে শামীম রেজা একজন পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেফতারও হয়েছেন তিনি। এই কুখ্যাত মাদক সম্রাট শামীম রেজার সাথে স্থানীয় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে প্রতিবেদক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা পুলিশের সহযোগিতা পাবেন কিনা, তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এই বিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান শামীম রেজা সম্পর্কে তদন্তে আমরা যা জানতে পেরেছি সংবাদমাধ্যমেও একই অভিযোগ উল্লেখ রয়েছে বিধায় শামীম রেজা সহ এই চক্রে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার চেষ্টা অভ্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামীম রেজার মাদক সিন্ডিকেটের কারণে সাভার অঞ্চলে জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্কুল–কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতের নাগালেই এখন ইয়াবা, ফেনসিডিল,গাঁজা এবং নতুন নেশার সংযোজন আইস সহ নানা প্রকার নেশাজাত দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া নাম না জানা আরও অনেক ধরনের মাদক এখন ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়।
শামীম রেজার সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্ত্রের মহড়ায় এলাকার মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
সুশীল সমাজের অভিমত, প্রশাসনিক তৎপরতা দ্রুত না বাড়ালে এই অপরাধ চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এলাকার সচেতন নাগরিকরা সাংবাদিকের ওপর হুমকি ও নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন।আরো বলেন সাভারে অপরাধের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। খুন ও মাদক সম্পর্কিত বহু ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সীমিত পদক্ষেপের কারণে।
৫ আগস্টের পর থেকে দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। এতে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
তারা আরও বলেন,“সত্য প্রকাশে সাংবাদিকরা জীবন বাজি রেখে কাজ করে, অথচ তাদেরই হতে হচ্ছে নানাভাবে হুমকি ও হয়রানির শিকার এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
দেশপ্রেমিক নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একাধিক স্থানীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, যেভাবে জনগণ অতীতে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছিল,ঠিক তেমনি সমাজের মাদক–অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই সম্ভব একটি নিরাপদ নেশামুক্ত রাষ্ট্র গড়ার।
Leave a Reply