এসএম উজ্জ্বল হোসেনঃ
কোঠা আন্দোলনের অন্যতম ছাত্র নেতা জনাব নুরুল হক নুর,তিনি ২০১৮সালে কোঠা বিরোধী বৈষম্য আন্দোলনের ডাক দেন তাতে যোগ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল কলেজ ভার্সিটির সাধারণ ছাত্রজনতা ও শিক্ষক মন্ডলী। ক্ষমতাসীন সরকারের ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগের রোষানলের স্বীকার হোন।বহুবার আক্রমণ করা হলেও দমে যাননি নানা বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছেন তার লক্ষে।
সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুকৌশলে নুরুল হক নুরকে গণভবনে ডেকে নিয়ে শুভেচ্ছা সহ কোঠা সংস্করণের প্রতিশ্রুতি দেয়।পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে দাবি মেনে রায় প্রদান করা করলেও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের রীট আপিলে আদালত পূর্বের অবস্থান বহাল করে রায় দেন যা প্রতারণার শামিল।দীর্ঘ ৬বছরের আন্দোলন বিফল হয় ক্ষুব্ধ হোন ছাত্র সমাজ ফুশে ওঠে সুবিধা বঞ্চিত সাধারণ ছাত্র জনতা। ২০২৪শের জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় যার নেত্রীত্বে নুরুল হক নুরের ভুমিকা অগ্রগণ্য,তার পরামর্শে কোঠা আন্দোলনকারীরা এগিয়ে যায় রাজপথে। কোঠা বিরোধী আন্দোলনের মুল বিষয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ৩০শতাংশ কোঠার ভিত্তিতে সুযোগ পাবে এটা ছাত্রজনতা মানতে নারাজ। মেধাবীদের অবমুল্যায়ন করা হচ্ছে তাই ৫% শতাংশ রেখে বাকিটা মেধার ভিত্তিতে অধিকার নিশ্চিত হোক।ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিতে বিরূপ মন্তব্য করেন সরকার,প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতির পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে গোটা দেশের মানুষকে রাজাকার আখ্যা দেয়।সেই সাথে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দমন পিড়ন পদ্ধতির আশ্রয় নেয়।আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রদের দমাতে ছাত্রলীগকে উষ্কে দেন।আন্দোলন রত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা গুলি বর্ষণ গ্রেফতার শুরু করেন তাতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হয়। সারাদেশের ছাত্র জনতা ক্ষোভে রাজপথে নেমে পড়ে।আন্দোলন তীব্রতর হতে শুরু করে, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ বিজিবি,ছাত্রলীগ সহ ইন্ডিয়া থেকে ভাড়া করা ক্যাডার বাহিনী দিয়ে কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলা হয়।বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনাব আন্দালিব রহমান পার্থ সহ গণ-অধিকার পরিষদের জনাব নুরুল হক নুর আন্দোলনকারীদের সহায়তার অপরাধে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়। অতঃপর কোঠা বিরোধী আন্দোলনকারীদের পাশে দাড়ালেন শিক্ষক কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সহ অভিভাবকবৃন্দ।শিশু কিশোর মুক্তিযোদ্ধা সহ সকল পেশাজীবিরা রাজপথে নেমে আসেন।আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে খবর,নেট দুনিয়া কেপে ওঠে আওয়ামীলিগের বর্বরতা। সবার পরামর্শক্রমে সরকারকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে ৯দফা দাবি দেয় কিন্তু সরকার আশাজনক কোনো শাড়া না দিয়ে দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অতঃপর দেশবাসীর সমর্থনে শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের একদফার ডাক দেয়। সরকারের বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়েও ব্যর্থ হয় খুনি হাসিনা আর কোনো পথ অবশিষ্ট না থাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।
ভারতের সহযোগিতায় গত ৫/৮/২০২৪ইং তারিখ দেশ থেকে পালিয়ে যায় খুনি হাসিনা। বিপাকে পড়ে খুনি হাসিনার দোসর এমপি মন্ত্রী পুলিশ বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা সহ বহু সমর্থক গোষ্ঠী। একে একে গ্রেফতার হতে শুরু করে যারা পালিয়ে যায় তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। নুরুল হক নুরুর দীর্ঘ ৬টি বছর আন্দোলন সংগ্রাম আজ বিজয় হলো।
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গ্রেফতার হওয়া সকল নেতাকর্মী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন গণঅধিকার পরিষদ নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠন। মানুষের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন বলে জানায়। জেল জুলুম অত্যাচার শর্য্য করে এগিয়ে চলেছেন নুরুল হক নুরু। এই আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছে তাদের জাতী কখনোই ভূলবেনা। শৈরশাসনের অবশসান হয়ে বাংলাদেশের বিজয় হলো,বিজয় আগষ্ট নামে বাঙালির অন্তরে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভালো থাকুক বাংলাদেশ ভালো থাকুক স্বাধীনতা ভালো থাকুক বাংলার মানুষ।
Leave a Reply