জামাত শিবিরের মদদদাতা অনলাইন গ্রুপের মালিক অভিযুক্ত ভূমিদস্যু আক্তারুজ্জামানের মিথ্যা মামলায় জমির মালিক নাজিমউদ্দিন কারাগারে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নাজিমুদ্দিনকে মুক্তির দাবি এলাকাবাসীর।মামলা আতংকে প্রতিবাদকারী ভূমি মালিকগণ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অনলাইন গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়াত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের দুই একর জমিও দখলে নিয়েছেন অনলাইন গ্রুপের মালিক। এছাড়া মানিকদী ইসিবি চত্ত্বরের রাস্তা সংলগ্ন জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে ভূমি দখল প্রতিরোধে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজটি প্রকাশ পায় গাজী টিভি,যমুনা টিভি,আরটিভি, মাছরাঙা সহ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে। মানববন্ধনের নেত্রীত্ব দেয়ায় অনলাইন গ্রুপের মালিক আক্তারুজ্জামানের সন্ত্রাসী বাহিনী চঞ্চল, আযাদ, কাইয়ুম,বাবুল,হবি সহ অজ্ঞাত কয়েকজন নাজিমউদ্দিনে অফিসে যায়। নাজিমউদ্দিনকে অফিসে না পাওয়ায় তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলামকে শাসিয়ে চলে যায় ।
উক্ত ঘটনায় নাজিমউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি জিডি করে যার নং-১১৩৬।
নাজিমউদ্দিন পেশায় ব্যবসায়ী হলেও যুবলীগের একজন সক্রিয় সদস্য। তার পিতা মোঃ আবু তাহের ভূইয়া লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রাক্তন সভাপতি।
নাজিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে রাজনৈতিক কোনো মামলা না থাকলেও আক্তারুজ্জামানের ভূমি জালিয়াতি মামলায় ২০২২ সাল থেকে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন, মামলাটি চলমান।
মানববন্ধনের নিউজ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে আক্তারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে নাজিমুদ্দিনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিজের অপকর্ম সক্রিয় রাখার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।
জানাযায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আক্তারের রয়েছে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক বিধায় আইনের অপব্যবহার করছেন প্রতিনিয়ত।
বনানী থানার একটি পেন্ডিং মামলা নং-১২ তাং ৮/৬/২০২২ইং বিস্ফোরক আইনে সাড়ে পনের মাস পর নাজিমুদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজিবের মুঠোফোনে নাজিমউদ্দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি চিনেন না বলে জানায়। ডিবি পুলিশের একটি দল নাজিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করে, রিমান্ড দাবি করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোনো তথ্য উদঘাটন ছাড়াই নাজিমউদ্দিনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। একই থানার আরেকটি মামলা নং-১১,তাং ৭/৬/২০২৩ সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নাজিমুদ্দিনকে আসামী করা হয় যা পূর্বপরিকল্পিত।
আক্তারুজ্জামানের প্রতিপক্ষ নাজিমুদ্দিনকে দমাতে শেরেবাংলা নগর থানার আরো কয়েকটি মিথ্যা মামলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নাজিমের পরিবার জানায়। এব্যপারে শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি জামাত বিএনপির নামে করা মামলার বিষয়ে তদন্ত করে দেখবেন নাজিমুদ্দিন জড়িত আছে কিনা।
নাজিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলার বিষয়ে প্রতিবাদকারীদের কাছে জানতে চাইলে বলেন নাজিমুদ্দিনকে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দেওয়ার নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানায়।
কথিত ভূমি জালিয়াত জামাত শিবিরের অর্থ যোগানদাতা অনলাইন গ্রুপের এমডি আক্তারুজ্জামানে গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানা এলাকার আমলসার গ্রামে। তার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাযায় তিনি নানা অপকর্মের হোতা, তার পিতা আইয়ুব আলীও একজন জামাতপন্থী নেতা ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানায়। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা ও অসংখ্য অভিযোগ।
অভিযুক্তের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা হয় ২২/২ অনলাইন গ্রুপ, কসমোপলিটন সেন্টার,বাবর রোড, মোহাম্মদপুর। ৫৭১/১ মিরপুর ডিওএইচএস রোড,ইসিবি চত্বর এলাকায় রয়েছে অবৈধ উপায়ে নির্মিত অনলাইন সেন্টার।
খোজ নিয়ে জানাযায় আক্তারুজ্জামান কিছুদিন আগেও মাটিকাটা এলাকার মেস-বাসায় ভাড়া থাকতেন,পেশা ছিলো টিউশনি। তার উত্থান দেখে হতবাক সাধারণ মানুষ। ভূমি জালিয়াতি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। জামাত নেতা ও শিবিরের মদদদাতা হয়েও আইনের অপব্যবহার করে সন্ত্রাসী কায়দায় ভূমি দখল করে যাচ্ছেন। আক্তারের নজর যে জমিতেই পড়ে জাল-জালিয়াতি ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে সম্পত্তি নিজের করে নেওয়াই তার কাজ।
ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করায় নির্যাতনের স্বীকার নির্দোষ নাজিমুদ্দিন জেলখানায় আটক, একাধিক মামলা দেয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের আকুল আবেদন নাজিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ অনলাইন গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী।
Leave a Reply