উৎপল ঘোষ,যশোর প্রতিনিধি :
যশোর র্যাব-৬ কর্তৃক মাদক বিরোধী ভ্যাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিষাক্ত স্পিরিট মেশানো ৭.৫ লিটার বিষাক্ত মদ সহ পাঁচ জন মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোর্ট কর্তৃক জেল জরিমানাসহ সাজা প্রদান করা হয়।
র্যাব ফোর্স আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করে আসছে।
গত ২৫ জানুয়ারি সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে মকের আলীর মোল্লার ছেলে কাসেম মোল্লা (৫৫), একই গ্রামের হামিদের ছেলে নুর ইসলাম (৪৫) ও শাহাজানের ছেলে জাকির হোসেন (২৮) বিষাক্ত মদ পানে গুরুতর অসুস্থ হন।তাৎক্ষনিক যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় মদ পানের কথা গোপন রাখেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন রাতে মারা যান কাসেম মোল্লা । এরপর ২৭ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুর ইসলাম ও জাকির হোসেন। এছাড়াও এই ঘটনায় আরো সাতজন অসুস্থ হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব-৬, যশোর এর একটি আভিযানিক দল বিষাক্ত মদ ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যশোর বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা এলাকায় বিষাক্ত স্পিরিট মিশিয়ে দেশী মদ তৈরি করছে এবং মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের দখলে রেখে বিষাক্ত দেশী মদ বিক্রি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ সময় রাত ২০.১০ ঘটিকা হইতে ১১.৪০ ঘটিকার পর্যন্ত যশোর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, যশোর এর সহযোগীতায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিষাক্ত দেশী মদ সহ ০৫ জন মাদক সরবরাহকারীদের মাছ বাজার থেকে মৃত গৌড় ঘোষের পুত্র মনোরঞ্জন ঘোষ (৬৭), ভায়না ফাতেপুর থেকে আনন্দ বিশ্বাসের ছেলে অসীম বিশ্বাস (৩২),বাঘডাঙ্গা ফাতেপুর থেকে নিমাই এর পুত্র লিংকন (৩২), ছাতিয়ানতলা থেকে পোলাদ আলীর পুত্র ইমতিয়াজ আলী (৫৯) বাগডাঙ্গা থেকে বিজয় বিশ্বাসের পুত্র প্রশান্ত বিশ্বাস(২৯)কে আটক করে।
এসময় তাদের কাছে থাকা ৭.৫ লিটার বিষাক্ত স্পিরিট মিশ্রিত দেশী মদ ও দুটি মটরসাইকেল জব্দ করে। পরবর্তীতে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট যশোর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেক মাদক ব্যবসায়ীকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা করে জরিমানার সাজা প্রদান করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জব্দ করা বিষাক্ত মদ ধ্বংস ও জরিমানা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। এছাড়াও মাদক বাহকদের ২০ দিনের কারাদণ্ড ভোগের উদ্দেশ্যে যশোর কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।
Leave a Reply